• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

কমেছে গড় আয়ু, বেড়েছে মৃত্যু

  • প্রকাশিত ২৫ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এক বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমেছে। ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল পরিসংখ্যানিকভাবে কমেছে, যা ৭২.৩ বছর। যেটি ২০২২ সালেও ছিল ৭২.৪। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জনসংখ্যাসহ বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার। যেখানে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। এছাড়া গত ২০২২ সালের তুলনায় দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মানুষের গড় আয়ু স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর। যা ২০২৩ সালেও একই অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সর্বশেষ চূড়ান্ত জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে দেশে নতুন করে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪০ শতাংশ। এছাড়া, দেশে নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ১৮.৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লীতে আগমনের হার ২০.৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩.৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬.৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮.৭৮ জন। আগমন/বহিরাগমন প্রতি হাজারে ২.৯৭ থেকে কমে হয়েছে ২.৩৭ জন।

বর্তমানে দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৭১ জন জনসংখ্যা বসবাস করে। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯.৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮ শতাংশ। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালে ৫৮.৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালে ৪১.৪ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০.৭ শতাংশ।

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১.০২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০.৬৪ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩.৩%) তুলনায় কিছুটা কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২.১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬.৬২%) তুলনায় কমে ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশ হয়েছে।

এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই; এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৪০.৬৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯.৯ শতাংশ। তবে, ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০.১ শতাংশ।

*পুরুষের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি নারী:

দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। মোট জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি নারী।

বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার বিন্যাস মধ্যে: ০-৪ বছর বয়সী ১০.২২ শতাংশ, ৫-১৪ বছর বয়সী ১৮.৫৬ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সী ১৮.৬৭ শতাংশ, ২৫-৩৯ বছর বয়সী ২২.২৮ শতাংশ, ৪০-৪৯ বছর বয়সী ১১.৮৭ শতাংশ, ৫০-৫৯ বছর বয়সী ৮.৯৩ শতাংশ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী ৩.৩৩ শতাংশ এবং ৬৫+ বছর বয়সী ৬.১৪ শতাংশ।

স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালের ৫৮.৬ শতাংশ সেই তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালের (৪১.৪%) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০.৭ শতাংশ। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬.১ শতাংশ যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৮ শতাংশ। মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের ১ম কারণ-হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১.০২% এবং ২য় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০.৬৪%। পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ১৮.৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লীতে আগমনের হার ২০.৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩.৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬.৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮.৭৮ জন। আন্তর্জাতিক আগমন-বহিরাগমন প্রতি হাজারে ২৯৭ থেকে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২.৩৭ জন।

২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩.৩%) তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২.১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬.৬২%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশ হয়েছে। খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে যা ৪.২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১৭.৪%, যা ২০১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮.৯%।

খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৪.২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৭.৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮.৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ সালে ছিল ৮২.৬ শতাংশ, যা ২০২৩ কমে হয়েছে ৮১.১ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৫৩ শতাংশে।

২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৫৩ শতাংশে। সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনসংখ্যার সাক্ষরতার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৭৭.৯ শতাংশ এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৪.৪) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫.৬ শতাংশ।

এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালের (৪০.৬৭%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫+ বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯,৯ শতাংশ। তবে, ১৫+ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫+ বছর বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০.১ শতাংশ।

*দেশে কমেছে তালাকের সংখ্যা:

ঢাকা: দেশের তালাকের সংখ্যা কমেছে। ২০১৮ সালে প্রতি হাজারে তালাকের সংখ্যা ছিল ১৮ দশমিক ১ জন, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৭ জন। গ্রাম অঞ্চলে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৯ দশমিক ৫ জন, ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ জন। শহরে ২০২২ সালে তালাকের সংখ্যা ছিল ১৩ দশমিক ৮ জন, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ১২ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো অবিবাহিত ১০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা হার ২০২২ সালে ছিল ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বিবাহিত জনসংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা বর্তমানেও একই। বিধাব ও তালাক বেড়েছে ২০২২ সালে ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রথম বিয়ের গড় বয়স বেড়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে হযেছে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রামে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে হয়েছে ২৪ শতাংশ। শহরে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ দশমিক শতাংশ, যা ২০২৩ সালে হয়েছে ২৫ দশমিক এক শতাংশ।

বাল্যবিয়ের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২২ সালে ১৫ বছর বয়সের আগে বিয়ের হার ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রামে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, বর্তমানে এ হার হয়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। শহরে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

২০২২ সালে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ের হার ছিল ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। গ্রামে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ, বর্তমানে এ হার হয়েছে ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ। শহরে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

জনশুমারি অনুযায়ী মুসলমানের হার ২০২২ সালে ছিল ৮৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৮৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। হিন্দুর সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বৌদ্ধর সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ১১ শতাশংশ, যা বর্তমানে এক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খ্রিস্টানদের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ, যা বর্তমানে শূন্য দশমি ২৪ শতাংশ।

*অলস সময় পার করছেন ৩৯ শতাংশ তরুণ:

বাংলাদেশের প্রায় ৩৯ শতাংশ তরুণ নিষ্ক্রিয়। মানে হলো তারা পড়াশোনায় নেই, কর্মসংস্থানে নেই; এমনকি কোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না। এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালের (৪০.৬৭ শতাংশ) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯.৯ শতাংশ। তবে ১৫ বছরের বেশি বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ।

এছাড়া ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০.১ শতাংশ। আর দেশে এখন নারী খানাপ্রধানের হার ১৮.৯ শতাংশ, একবছর আগেও যা ছিল ১৭.৪ শতাংশ। এছাড়া প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ১৭১ জন।

এক বছরে সিজারিয়ান ডেলিভারি ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে :

দেশে এক বছরে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ২০২২ সালে মোট প্রসবের ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল সিজারিয়ান ডেলিভারি।

স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসভিআরএস) প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২৩ সালে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার বেড়ে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। এটি উদ্বেগজনক এবং বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন, বলেন তিনি।

*ঢাকার বস্তির বেশিরভাগ মানুষ বরিশালের:

শহরের বস্তিতে বসবাসকারী প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ মানুষ বরিশালের। এর আগে ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বরিশালে নিরাপদ টয়লেট সবচেয়ে কম বলে প্রকাশ করা হয়। সে সময় প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে ৫৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ পরিবারে নিরাপদ টয়লেট বা শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ৩৭ দশমিক ৯২ শতাংশ রয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর সবচেয়ে বেশি নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা ঢাকাতে। বিভাগটিতে এ হার ৬৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা, কাজে বা প্রশিক্ষণে নেই, দেশে এমন তরুণের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪০.৬৭ শতাংশ। এ বছর কিছুটা কমে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯.৮৮ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে ১৭ লাখ বেড়ে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। মোট জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি নারী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads